বিডিনিউজ ১০, আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ভারতের আসামের জাতীয় নাগরিকত্ব নিবন্ধনের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখের মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফেরত নিতে বলবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা।
রোববার ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাল দলিল প্রতিরোধে নাগরিকদের তালিকা হালনাগাদের এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে ততদিন, যতদিন আসামের একজন আদিবাসীও তাদের আবাস খুঁজে না পাবেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের পরে যারা শরণার্থী হিসেবে এসেছেন, তারা সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আমরা তাদের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু তালিকার মধ্যে অনেকে আছেন, যারা নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
এজন্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অন্তত ২০ শতাংশ এবং বাকি আসামের ১০ শতাংশ নাগরিকদের পুনর্যাচাইয়ের অনুমতি দিতে সুপ্রিমকোর্টের কাছে দাবি জানান আসামের অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা কিছু অবৈধ অভিবাসী পেয়েছি এবং আমরা এ অনুসন্ধান চালাতে থাকব। আসামের প্রত্যেকটি আদিবাসী তাদের জায়গা খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে।
এই জ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা বলেন, আমরা ১৪ থেকে ১৫ লাখ বিদেশি শনাক্ত করেছি… এটা প্রমাণিত হয়েছে। মমতা ব্যানার্জি যাই বলুক না কেন; তা আমরা আমলে নিচ্ছি না। কারণ অবৈধ বিদেশিরা তার ভোট ব্যাংক।
বিশ্বশর্মা বলেন, তালিকায় বাদ পড়াদের ক্ষেত্রে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে না বা কাউকে আটকও করা হবে না।
‘আমরা বাংলাদেশকে বলব, তাদের লোকদের ফেরত নিতে। তবে এ সময়ের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না। তাদের কিছু বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে,’ বললেন আসামের এই অর্থমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ভারতের বন্ধু বাংলাদেশ সব সময় আমাদের সহযোগিতা করে আসছে। অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে তারা তাদের নাগরিকদের বরাবরই ফেরত নেয়। এ সংখ্যা কখনও খুব বেশি ছিল না। কিন্তু এখন তাদের চিহ্নিত করতে একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে তালিকায় কারও নাম না থাকলেই যে তাকে বিদেশি বলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে, তা নয়। এর জন্য আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ভারতের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।